নাদিম আহমেদ অনিক-
নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় বিশেষ অভিযানে ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়েছে পুলিশ।
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, নওগাঁর পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ হাটের পার্শ্বে ৫ জনের একটি ডাকাত দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু কুমার প্রামানিক কে পথরোধ করে মারপিট ও তার কাছে থাকা স্বর্ণ এবং নগদ অর্থ সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে আত্রাই থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু হলে জেলা পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতির রহস্য উৎঘাটন, ডাকাতদের চিহ্নিত করণ ও গ্রেফতারে কাজ শুরু করে।
একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু ও তার ছোট ভাই চোরাইকৃত স্বর্ণ ক্রয়ের সাথে জড়িত। এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত রেজাউল তার কাছে পূর্বে একাধিকবার ডাকাতিকৃত স্বর্ণ কমদামে বিক্রয় করেছে কিন্তু রেজাউ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে থাকাকালীন নান্টু তার কোন খোঁজ-খবর নেয়নি এবং তার পাওনা টাকাও পরিশোধ করেনি। ফলে রেজাউল অন্য ডাকাতদের সাথে যোগাযোগ করে নান্টুর স্বর্ণ এবং টাকা পয়সা ডাকাতি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নওগাঁ সদর উপজেলার বজরুক আতিথা গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন এর ছেলে আজাদুল দেওয়ান (৪৭), একই উপজেলার শেরপুর এলাকার মৃত আসাদুল ইসলাম এর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৪২) এবং আত্রাই উপজেলার মালিপুকুর গ্রামের মৃত তালেব মন্ডল এর ছেলে রেজাউল মন্ডল (৩০) সহ আরও ২ জন ডাকাত ২টি মোটরসাইকেল যোগে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টুর মোটরসাইকেল অনুসরণ করতে করতে আত্রাই থানার আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পার্শ্বে মালাধর বড় ব্রিজের নিকট ফাঁকা স্থানে পৌঁছে ডাকাতদল পিছন থেকে তার মাথায় আঘাত করে এবং তার ব্যাগে থাকা স্বর্ণ, রুপা এবং নগদ টাকা মিলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
আমাদের একাধিক টিম গত রাতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর ও আত্রাই থানা এলাকা থেকে উল্লেখিত ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতিকৃত নগদ ৪০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল, ডাকাতির টাকায় ক্রয়কৃত ১টি নতুন মোটরসাইকেল এবং ডাকাতিকৃত ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আসামী আজাদুলের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ ১৯ টি মামলা এবং আসামী রেজাউলের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ পূর্বক ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।